ঢাকা , সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫ , ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ইউরোপের শ্রমবাজারে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ সাড়ে পাঁচ বছরে সড়কে ঝরেছে ৩৭ হাজার প্রাণ সৌদি আরবে মৃত্যু অর্থের অভাবে দেশে লাশ আনতে পরিবারের অপারগতা সুন্দরগঞ্জে ব্যবসায়ী আনারুলের রোষানলে নিঃস্ব এলাকাবাসী রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি কৃষকদল নেতার পাইকগাছায় পাটচাষির সোনালি স্বপ্ন অতিবৃষ্টিতে ভেসে গেছে শ্রীপুর প্রাইভেট হাসপাতাল মালিক সমিতির নির্বাচন কলারোয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অগ্নিকাণ্ড দোকান বরাদ্দে অনিয়ম কুষ্টিয়া জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান সিলেট-৬ এ নারী নেতৃত্বের নতুন সম্ভাবনা সৈয়দা আদিবা হোসেন চৌমুহনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন-বিক্ষোভ কলমাকান্দায় র‌্যালি ও আলোচনার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন ঈশ্বরগঞ্জে মাদক কারবারি হাড্ডি বাবুসহ ৪ জন গ্রেফতার সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে ভালুকা প্রেসক্লাবের মানববন্ধন তিস্তায় ফের পানি বৃদ্ধি খুলে দেয়া হয়েছে ৪৪টি জলকপাট তালতলীতে নৌবাহিনীর অভিযান ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ২ ১৬ বছরে একদিনও আসেননি কলেজে ফের নিয়োগ পাচ্ছেন বরখাস্ত হওয়া ৩ শিক্ষক দক্ষিণ চট্টগ্রামে পাহাড়ে পেয়ারার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি আদমদীঘিতে ৪০ পিস ট্যাপেন্টাডলসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার নাঙ্গলকোটে সাবেক মেম্বারের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

সাড়ে পাঁচ বছরে সড়কে ঝরেছে ৩৭ হাজার প্রাণ

  • আপলোড সময় : ১১-০৮-২০২৫ ১২:৪৪:২৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৮-২০২৫ ১২:৪৪:২৫ পূর্বাহ্ন
সাড়ে পাঁচ বছরে সড়কে ঝরেছে ৩৭ হাজার প্রাণ
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে ৩৪ হাজার ৮৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় মোট ৩৭ হাজার ৩৮২ জন নিহত হন। আহত হন ৫৯ হাজার ৫৯৭ জন। গতকাল রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাপনা সংস্কারে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। দেশের সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি রূপরেখার আওতায় ১৮টি প্রস্তাব দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি বলছে, এসব সংস্কার প্রস্তাব ২০২৫ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে বাস্তবায়নের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সড়ক ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার ছাড়া প্রাণহানি ও বিশৃঙ্খলা কমানো সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্কারে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তিন ধাপের রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, আমরা সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্কারের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরি করেছি। এতে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি তিন ধাপে করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি প্রস্তাবে (২০২৫-২০২৭) রয়েছে, জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল পুনর্গঠন, বিআরটিএ-বিআরটিসি-ডিটিসিএ শীর্ষপদে টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ নিয়োগ, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় সড়ক সম্পর্কিত প্রশ্ন ও রোড টেস্ট, যানবাহনের আয়ুষ্কাল ও ডাম্পিং নীতিমালা, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন, ট্রাফিক ও পার্কিং ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, শিক্ষা সচেতনতা কার্যক্রমে বাজেট বরাদ্দ, দুর্ঘটনা ক্ষতিগ্রস্তদের ট্রাস্ট ফান্ডে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ।মধ্যমেয়াদি প্রস্তাবে (২০২৫-২০২৯) রয়েছে, আধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তি (আইটিএস, জিপিএস, ক্যামেরা) বাধ্যতামূলক, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন দ্রুত প্রত্যাহার, রুট রেশনালাইজেশন ও কোম্পানিভিত্তিক বাস সার্ভিস, স্কুল-কলেজে নিজস্ব বাস সার্ভিস বাধ্যতামূলক এবং মোটরসাইকেলের গতি ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ।দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাবে (২০২৫-২০৩১) রয়েছে, রাজধানীতে বহুতল হাইড্রলিক পার্কিং স্টেশন, ছোট যানবাহনের নিরাপত্তা উন্নয়ন ও নিবন্ধন এবং সড়ক-রেল-নৌপথ একত্রিত করে অভিন্ন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।এ সময় সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর বলেন, বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থা বহুস্তরে নৈরাজ্যের মধ্যে রয়েছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব, অপরিকল্পিত নগরায়ন, দুর্বল অবকাঠামো, সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব এবং জবাবদিহির অভাবের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি সবসময়ই বেশি থাকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চালকদের অবহেলা ও অদক্ষতা, দীর্ঘ সময় গাড়ি চালানোর চাপ, সড়কে গতিরোধকহীন দীর্ঘ অংশ, যান্ত্রিক ত্রুটি, পথচারীদের অসচেতনতা এবং আইন অমান্য করার প্রবণতা। এসব মিলিয়ে প্রতিদিনই মানুষ সড়কে প্রাণ হারাচ্ছেন কিংবা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন।তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকার চাইলে এখনই একটি সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রস্তাবিত রূপরেখার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বাস্তবায়ন করতে পারে। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সেই উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে পারবে। রাষ্ট্রের অবহেলা এবং দীর্ঘদিনের অযত্নের কারণে সড়ক খাত আজ ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে, আর এর মাশুল দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।তিনি আরও বলেন, নিরাপদ সড়ক কেবল অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সম্ভব নয়; বরং মানুষের আচরণে পরিবর্তন, কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ, আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এবং প্রশাসনিক সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি টেকসই সমাধান পাওয়া যেতে পারে। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, সিভিল সোসাইটি ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের যৌথভাবে কাজ করতে হবে। এ সময় আরও ছিলেন– রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. কামরান উল বাসেত, পরিবহন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ফেরদৌস খান, উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. আরিফ রাইহান, যুগ্ম সম্পাদক ড. জাহিদুল ইসলাম, সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মাহমুদ রিয়াজ, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এক্সপার্ট পরিচালক আমিনুর রহিম ও বাংলাদেশ রোড সেফটি নেটওয়ার্কের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ একরাম হোসেন প্রমুখ।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স